January 5, 2025, 7:54 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
মেহেরপুরে আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে মুলা ও পালং শাকও আবাদ করেছেন তারা। সেখান থেকে আসছে বাড়তি আয়।
গত বছর পেঁয়াজের ভালোদাম পেয়ে এ বছরে আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করেন কৃষকরা।
এদিকে, সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে রোপণ করা পেঁয়াজ নভেম্বরের শেস দিক থেকে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করায় কেজিতে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা কমে ক্রেতারা পেঁয়াজ কিনতে পারছেন।
কৃষি বিভাগ জানায়, এবার সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুরের মাঠজুড়ে গ্রীষ্মকালীন নাসিক-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। প্রতিবিঘা জমিতে ৬০ থেকে ৬৫ মন পর্যন্ত পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে।
জেলা কৃষি অফিসের ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা আশরাফুন্নেসা জানান, জেলার তিনটি উপজেলার বিভিন্ন মাঠে এ বছর আবাদ হয়েছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে। মোট পেঁয়াজ উৎপাদন হবে প্রায় ৪৮ হাজার ২০০ টন। এক কাঠা জমিতে সাড়ে তিন থেকে ৪ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। যা জেলার চাহিদার প্রায় তিনগুণ।
গাংনীর জুগিন্দা গ্রামের পেঁয়াজ চাষি সাহারুল ইসলাম জানান, পেঁয়াজ অনেক ভালো হয়েছে এবং ফলনও ভালো। বাজারে নতুন পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জমি থেকে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা কেজি।
মুজিবনগর গ্রামের কৃষক আসকার আলী জানান, তিনি পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে মুলা ও পালংশাকের বীজ বপন করেছিলেন। দুই সপ্তাহ পর মুলা ও পালংশাক বিক্রি করে ভালো টাকা আয় হয়েছে।
সদর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের কৃষক আব্দুল আলীম বলেন, গত বছর দশ কাঠা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করে ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এ বছর এই কৃষক দেড় বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ করেছেন।
এই কৃষক, একই জমিতে লালশাকের বীজ বুনেছিলেন। ইতোমধ্যে, লালশাক আগে বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। তিনি জানান, বিক্রি শেষে খরচের দেড়গুণ টাকা লাভের আশা আছে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরান হোসেন বলেন, মেহেরপুর জেলার মাটিতে সব ধরনের আবাদ হয়। জেলার আবহাওয়া সব আবাদের উপযোগী। পেঁয়াজের আবাদের জন্য জেলার খ্যাতি রয়েছে।
তিনি বলেন, বাজারে নতুন এই পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় পেঁয়াজের দাম এখন ক্রেতাদের নাগালে।
Leave a Reply